মার্জিন ঋণের হার বৃদ্ধি করে দরপতন ঠেকানো যাবে না

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে ১০ই ডিসেম্মর ২০১১ খ্রীঃ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) মার্জিন ঋণের সীমা ১:১.৫ থেকে বাড়িয়ে ১:২ করেছে ।

একই সঙ্গে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় স্পট মার্কেটে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণ মার্কেটে স্থানান্তর করার। এ ছাড়া ৩০ জানুয়ারির মধ্যে শিল্পঋণের টাকা সমন্বয় করার বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সিদ্ধান্ত ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।

১০ই ডিসেম্মর ২০১১ খ্রীঃ ব্যাপক দরপতনের ফলে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে দেশের দুই শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর জরুরি বৈঠকে বসে এসইসি।

শেয়ার বাজারে মার্জিন ঋণের হার বৃদ্ধি করে স্থায়ীভাবে দরপতন ঠেকানো যাবে না। এতে কিছু বিনিয়োগকারী হয়তো শেষবারের মত তল্পীতল্পা গোছানোর কিছু সময় পাবে আরো বড় ধ্বস নামার আগে। ইতিহাস তাই শিক্ষা দেয়। পৃথিবীর ষ্টক মার্কেটের ইতিহাসে সর্বকালের ধ্বংসাত্মক পতনের পূর্বে, মানে ১৯২৯ খ্রীষ্ঠাব্দের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল ষ্ট্রীটে এরকম ভয়াবহ উচ্চ মার্জিন ঋণের প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।

১৯৭৪ খ্রীঃ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মার্জিন ঋণের হার ১:৫ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। কারণ, কৃত্রিমভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পুঁজিবাজারকে ব্যাবহার করলে আরো ধ্বংসাত্বকভাবে দরপতন ঘটতে বাধ্য।

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। কাউছার ভূইয়াঁ ১৯৯১ – ২০১১।