পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি মেলায় বাংলাদেশ

দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি

আমাদের অজান্তে হলেও আজ বহুকাল ধরেই তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছে। আমরা হয়ত কখনও বিশেষভাবে চিন্তা করেও দেখিনি যে, দূরালাপণী, দূরদর্শন, আন্তর্জাল, তড়িৎডাক ও ভ্রাম্যালাপনী (মোবাইল ফোন) ব্যতিত আজ আমরা একেবারেই অচল এবং এই সকল অধুনিক সভ্যতার মূলে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির এক বিশাল ভূমিকা। তাই তথ্যপ্রযুক্তি আজ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শিল্পে পরিণত হয়েছে। অতি বিলম্বে হলে আমাদের দেশেও তথ্যপ্রযুক্তির হাওয়া লেগেছে অবশেষে। বিষয়টি নিয়ে অন্ততঃ কমবেশী আলাপ আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু আন্তর্জাতিক তুলনায় তা মোটেও পর্যাপ্ত নয়।

CEBIT কি

আপাততঃ বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের মন্দাভাবের কথা এ শিল্পে নিয়োজিত ও আগ্রহীমহলের সকলেরই কমবেশী জানা আছে। তবুও সবকিছুকে উপেক্ষা করে প্রতিবছরের মত এবারও গত ২২-২৮শে মার্চ ২০০১ খ্রীঃ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হল জার্মানীর হানোভার শহরে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি মেলা। এ মেলা পৃথিবীর সকল প্রযুক্তিব্যাবসায়ী ও অণুরাগীদের মিলন স্থল। এখানে প্রদর্শিত হয় প্রযুক্তির সর্বাধুনিক সৃষ্টি। তবে অধিকাংশ প্রদর্শিত পণ্যই হয় এখনও বাজারে বের হয়নি আর না হয় তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তবুও এ বাণিজ্য মেলার তাৎপর্য বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পে ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অপরিসীম।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
বাণিজ্যপটু জার্মান জাতির বাণিজ্যমেলার ইতিহাস বহুদিনের। সুদূর ১৪শ শতাব্দীতে জার্মানীর মাইন নদীর তীরে অবস্থিত ফাঙ্কফুর্ট শহর সারা ইউরোপের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়। সে আমলে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারণে মোটামুটি ইউরোপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তখন থেকেই এ শহরে বিভিন্ন বাণিজ্য  মেলা সংঘঠিত হতে থাকে। সম্প্রতিকালে অতি নগণ্য হারে হলেও ফাঙ্কফুর্টসহ জার্মানীর বিভিন্ন শহরের অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠাণও অংশ গ্রহণ করে থাকে। ফ্রাঙ্কফুর্ট ব্যাতিত জার্মানীর প্রায় সকল বড় শহরগুলোতে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয় বছরে একাধিক বাণিজ্য মেলা। যেমন হানোভার জার্মানীর একটা মাঝারী আকারের শহর হলেও এখানে প্রতিবছর একাধিক বিশ্বপ্রসিদ্ধ বাণিজ্য মেলা বসে থাকে। এ শহরের বাণিজ্য মেলার শুরু কবে কে সেটা আমার সঠিক জানা নাই বটে, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর ১৯৫০ খ্রীঃ থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ শহরে বিভিন্ন ধরনের গুরত্বপূর্ণ বাণিজ্য মেলা। তার মধ্যে ঈবইওঞ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। আজকের বিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি মেলা বা ঈবইওঞ -এর শুরু বলতে গেলে ১৯৫০ খ্রীঃ। অবশ্য সে সময় দৈনন্দিন জীবনযাপন ও ব্যাবসা বাণিজ্যে তথ্যপ্রযুক্তির গুরত্ব আজকের মত ছিল না বলে মেলাটি সে সময় “ঙভভরপব ঊয়ঁরঢ়সবহঃ ওহফঁংঃৎু” নামে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। তার ঠিক ৩৬ বছর পর, ১৯৮৬ খ্রীঃ উক্ত মেলার উত্তরসূরী ও পৃথিবীর সর্ববৃহৎ স্বতন্ত্র তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ঈবইওঞ -এর জন্ম হয়।

CEBIT নামের উৎপত্তি

নবজাত মেলাটির একটি উপযুক্ত নামের প্রয়োজন দেখা দেওয়াতে বিভিন্ন মহল থেকে নামের প্রস্তাব আসতে থাকল মেলার সাংগঠনিক কতৃপক্ষের সমীপে। সকল প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্যে ঈবহঃৎব ভড়ৎ ঙভভরপব (জার্মান ভাষায় ইঁবৎড়) ধহফ ঙৎমধহরংধঃরড়হ ঞবপযহড়ষড়মু বা “ঈবইঙঞ” নামটি মেলা কতৃপক্ষের নিকট সর্বোত্তম বলে মনে হলেও তারা অবশেষে সেটাকে আংশিক পরিবর্তন করে নাম রাখলেন “ঈবইওঞ” বা ঈবহঃৎব ভড়ৎ ঙভভরপব (জার্মান ভাষায় ইঁবৎড়) ধহফ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঞবপযহড়ষড়মু। এ নামের পক্ষে তারা আরও যুক্তি প্রদর্শন করলেন যে, ইওঞ হল তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষুদ্রতম একক; তাই ইঙঞ -এর পরিবর্তে ইওঞ শব্দটিই এক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য। অবশেষে ঈবইওঞ নামটি নবজাত মেলার জন্য নির্ধারিত হল।

CEBIT ২০০১: সাফল্যে চূড়ায়

প্রতিবছরের মত এবারও গত ২২-২৮শে মার্চ ২০০১ খ্রীঃ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হল জার্মানীর হানোভার শহরে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি মেলা
CeBIT ২০০১। সঙ্গতঃ কারণেই মেলাকতৃপক্ষ এবং সংবাদমাধ্যমগুলো এবারের মেলাকে বিশেষ সাফল্য বলে আখ্যায়িত করেছে। বিশ্ব প্রযুক্তিশিল্পে মন্দাভাব সত্বেও এবার ঈবইওঞ সাধারণ দর্শক, বিশেষ গুরত্বপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব ও প্রদর্শকের সংখ্যা, সবদিক থেকেই অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। প্রথা অনুযায়ী মেলাটি জার্মান সরকার প্রধাণ উদ্বোধন করে থাকেন। তাই এবার মেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বর্তমান জার্মান চ্যন্সেলর জনাব গেহর্ড শ্রোয়ডার। অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে জার্মান বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব রায়না ম্যুলার ও অন্যান্য স্থানীয় নেতানেত্রীগণ উক্ত উদ্বেধনী অনুষ্ঠনে উপস্থিত ছিলেন
অপরদিকে পৃথিবীর প্রায় সকল গুরত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পপ্রতিষ্ঠাণের কর্ণধারগণ এসেছিলেন তাদের নিজ নিজ পণ্যের গুণগান করতে। তাদের মধ্যে হিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানীর প্রধান নির্বহী পরিচালিকা জনাবা ঈধৎষবঃড়হং ঋরড়ৎরহধ -র নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি অবশ্য পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কর্মকর্তাদেরও অন্যতম। গত বছর, ২০০০ খ্রীঃ বেতন ও বোনাছ সহ তিনি প্রতিমাসে আয় করেছেন ২৩০,৫০০ মার্কিন ডলার বা (২৩০,৫০০ী৫৭) =১৩,১৩৮,৫০০ টাকা। পাঠক পাঠিকাদের মধ্যে যারা বেতনের অঙ্ক দেখে খুব বেশী অবাক হচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে, এখানে কোন ছাপার ভুল নেই।

CEBIT ২০০১ -এ বাংলাদেশ

পৃথিবীর সকল হস্তিকায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ঈবইওঞ ২০০১ -এ অংশ গ্রহণ করতে বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ণ অধিদপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন কয়েকজন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবসায়ী ও বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি। মেলার শেষদিন, ২৮শে মার্চ ২০০১ খ্রীঃ তারিখে এ মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উপড় “গরংংরড়হ ওসঢ়ড়ংংরনষব” শিরোণামে পুরো ২৯ নম্বর পৃষ্ঠা পাতা জুড়ে জোহা প্যাটালো নামক এক প্রতিবেদক ফিচার প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন জার্মানীর অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা জার্মান ঋরহধহপরধষ ঞরসবং উবঁঃংপযষধহফ (এবৎসধহু) -এ।

কি মিশন, কেন ইম্পোছিবল?

প্রতিবেদনটি থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিলে বিষয়টি আপনাদের নিকট পরিষ্কার হয়ে উঠবে। ছবিসহ উক্ত প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের মিশন বা স্বপ্ন সম্পর্কে একদিকে দেশের অর্থনৈতিক করুণ অবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অন্যদিকে মেলায় অংশগ্রহণকারীদের অদক্ষতা ও অযোগ্যতার উপড় বিশেষভাবে আলকপাত করে ”স্বপ্নই বৃথা” বলে মন্তব্য করা হয়েছে। উক্ত বিষয়সমূহ উল্লেখপূর্বক বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিশ্বতথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্যে শরিক হওয়ার যে স্বপ্নে বিভোর হয়েছে তা একেবারেই বৃথা। কারণ, মেলায় যারা অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন তারা খরিদ্দারদের সাথে কি এক অদ্ভুদ কারণে যেন কথা বলতে ভয় পান বলে প্রতিবেদকের নিকট মনে হয়েছে। তার নিকট আরও মনে হয়েছে যে, ইংরাজরা আমাদেরকে দুইশত বছর ইস্পাতের মত কঠিন হস্তে তাদের বুলি শিক্ষা দেওয়া এবং ইংরাজী এখনও আমাদের পাঠ্যক্রমের আবশ্যিক বিষয় হওয়া সত্বেও আন্তর্জাতিক পরিধিতে আমাদের কথা বলার বিদ্যা এখনও অর্জন করা সম্ভব হয় নাই।
আমাদের বিদ্যা ও শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ তো আমরা অত সহজে মেনে নেব না। আমরা তো সচরাচর প্রয়োজন অপ্রয়োজনে সবসময়ই কমবেশী ইংরাজী বলে থাকি, তাহলে কেন এ অভিযোগ? উক্ত প্রতিবদক কি তাহলে আমাদের বাংলা ইংরাজীর সংমিশ্রণে এক অদ্ভূত ভাষায় কথা বলার বদঅভ্যাসের কথা বুঝাতে চেয়েছেন?  নাকি আমাদের অদ্ভূত ইংরাজী উচ্চারণ ও বাচন ভঙ্গীর দিকে অঙ্গুলী প্রদর্শন করার চেষ্টা করেছেন? তার হেতু যাহাই হউক না কেন, প্রতিবেদক ভদ্রলোক বাংলদেশ ষ্টলে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে যে, যদি ঘটনাক্রমে কেউ বাংলদেশ ষ্টলে ঢুকে তাহলে তার দিকে কেউ এগিয়ে তার নিকট বাংলাদেশকে তুলে ধরার পরিবর্তে তাকে এড়িয়ে যেতে পারলেই যেন সকলে বেঁচে যান!  ঈবইওঞ ২০০১ -এ অংশগ্রহণকারী বাংলদেশ ষ্টলের একজন প্রতিনিধি তার পকেট থেকে চিরুণী বের করে মাথা আঁচড়াতে আঁচড়াতে (অভদ্রতা) ভাঙ্গা ইংরাজীতে প্রতিবেদককে জানিয়েছে যে, তারা তো এ মেলায় বাংলদেশ ষ্টলে কোন দর্শক বা খরিদ্দারই আশা করেন নাই!
প্রতিবেদককে আরও জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার এ মেলায় অংশগ্রহণের জন্য ১,৬৫০,০০০ টাকা বরাদ্দ করেছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যাবসায়ীদের নিজ খরচে শুধু উড়োজাহাজের টিকেট ক্রয় করতে হয়েছে, বাকী যাবতীয় খরচ বহন করেছে বাংলাদেশ সরকার বা আপনাদের মত করপ্রদাণকারী দেশের সাধারণ জনগণ। তখন প্রতিবেদক নিজে নিজেকে প্রশ্ন করলেন যে, তাহলে বাংলাদেশী কর দাতাদের (সরকারের) এত টাকা খরচ করতে এখানে এসেছেন কেন? এটা কি তাহলে জনগণের পয়সায় পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলোর বিদেশ ভ্রমনের নতুন বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে? কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে বলতে পারলেন না।
এবার গোড়ার কথায় ফিরে আসা যাক। কি মিশন, কেন ইম্পোছিবল? বিশ্বতথ্যপ্রযুক্তিতে শরিক হওয়া আমাদের মিশন এবং এটা ইম্পোছিবল নয়। তবে আমাদের বর্তমান পতিস্থিতির রাতারাতি ও আমূল পরিবর্তন ব্যাতিত যে এ মিশন পছিবল করা যাবে না তাও সত্য। কোথায় শুরু করতে হবে?  আধুনিক প্রযুক্তিশিল্পে আমাদের শরিক হতে হলে সৃষ্টি করতে হবে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ জনশক্তি ও প্রশাসন। এ জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর মান নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ণ। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে ব্যঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা দেশের বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নামের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণকেন্দ্র গুলোতে প্রশিক্ষণের মান যাচাই করা। কারণ, শুধুমাত্র ফটোকপি করা পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা সামগ্রী বা কম্পিউটারে টাইপ করা শিখে আন্ত-র্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তিতে শরিক হওয়া যাবে না।
তাই অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ পদক্ষেপসহ এখনই ফিরিয়ে আনতে হবে শতশত দেশান্তর সোনার ছেলেমেয়েদেরকে দেশের মাটিতে। যারা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অর্জন করেছে – যার তথ্যপ্রযুক্তির মক্কা সিলিকন ভ্যলীসহ পৃথিবীর নামীদামী শিল্পপ্রতিষ্ঠাণ গুলোতে নিয়োজিত রয়েছে দেশত্যাগী হয়ে। বিদেশের মাটিতে এমন কেউ নেই যে, দেশে ফিরে আসার জন্য তাদের মন না কাঁদে। তারা নূন্যতম সুযোগ পেলে সবকিছু ফেলে দেশে ফিরে আসতে প্রস্তুত। তাদের সহযোগিতায় গড়ে তুলতে হবে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বাংলাদেশের মাটিতে। এ মিশনকে করতে হবে সবার আগে পছিবল
ইতিহাস থেকে শিক্ষা পাওয়া যায় যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের পর জাপান তার হাজার হাজার নাগরিকদেরকে বিদেশে পাঠিয়েছিল সারা বিশ্ব থেকে থেকে জ্ঞান অর্জন করার জন্য। আমাদের প্রতিবেশী ভারত আশি ও নব্বইয়ের দশকে জাপানের মত একই পথ অবলম্বন করেছে। একই সাথে তাদের সেনার ছেলেমেয়েদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন প্রেরণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারাও অতি অল্পসময়ের মধ্যে তাদের বিচক্ষণ নীতি গ্রহণের ফল এখন ভোগ করছে। ভারত তাদেরকে স্বদেশে বসবাসের জন্য যে সকল প্রেরণামূলক প্রকল্প হাতে নিয়েছেল তা সম্প্রতিকালে আরও জোড়দার করা হচ্ছে।
চোখকান বন্ধ করে না রেখে আমরাও যদি সময়ের সঙ্কেতে সাড়া দিয়ে এখনই সঠিক নীতি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে পারি তাহলে আগামী ঈবইওঞ-এ অংশগ্রহণ সার্থক ও আমাদের মিশন পছিবল হতে পারে অচিড়েই।
-: স  মা  প্ত :-