যুদ্ধ কেন – কি জন্য / একটি বাণিজ্যিক বিশ্লেষণ

ইরাকে মার্কিন আক্রমণ

সাদ্দাম হোসেন এখন ইতিহাস মাত্র। তবুও ইরকের চেহারর কোন আমুল পরিবর্তন ঘটেনি। পৃথিবীর অন্যতম তেল উৎপাদনকারী দেশে এখনও ক্ষুধার্ত শিশুর অর্তনাদ আকাশে বাতানে প্রতিধ্বনিত হয় প্রতিদিন। মার্কিন প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইরাকীদের প্রকৃত মুক্তি আসেনি – আসেনি “মার্কিন গণতন্ত্র” ইরাকী জনগণের জন্য। ইরাকী জনগণ আদৌ মার্কিন গণতন্ত্র চান কিনা তাও আমরা জানিনা।

আরব বিশ্বে গণতন্ত্রের সজ্ঞা মার্কিন গণতন্ত্রের সজ্ঞার চেয়ে যে ভিন্ন তা অনুধাবন করতে আরব বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। ইসলাম ও আরব বিশেষজ্ঞ জার্মান সাংবাদিক পিটার শল-লাটু্র বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এ কথারই পুণঃরাবৃত্তি করেছেন। তার মতে ইরাকে সীয়া-সুন্নী বিবাদ নাকি ইরাকী মরুভূমির মত প্রাচীন। কারবলার ইতিহাস সকলেরই জানা। সে সাথে উত্তর ইরাকে কুর্দীদের সাথে সাপে নেওলে সম্পর্ক তো রয়েছেই। আর এখন তার সাথে যোগ হল মার্কিনীরা। তাতে ইরাক তথা আরব সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে বলে পিটার শালাটুর মন্তব্য করেছেন।

বিধ্বস্ত-ইরাক

যা হউক, এবার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে বর্তমানে ফিরে আসা যাক। ইরাকে মার্কিন আক্রমণ সম্পর্কে আপাততঃ কোন সংবাদ মধ্যম নেই যেখানে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে না। তবে তার সিংহভাগই যুদ্ধের অবস্থা, হতাহত, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বৈধতা,বিশ্বশান্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। পরিবেশিত সংবাদ ও সংবাদ বিশ্লেষণের আরও একটা বড় অংশ হল এ যুদ্ধে মুসলমান ও অমুসলমানদের আদর্শ ও নীতিগত পার্থক্য।

কিন্তু এ যুদ্ধের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য মার্কিন বাণিজ্যিক স্বার্থ বলে যারা মনে করেন, তাদের অফসোস ও হতাশা যে, এ সম্পর্কে খুব বেশী প্রতিবেদন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। তাহলে হয়ত সেখান থেকে কিছু পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যেত যে, যুদ্ধ কেন – কি জন্য।

পৃথিবীর সর্বাধুনিক সেনাবহিনী ইরাকের বিরুদ্ধে এমন এক যুদ্ধে অবতীর্ণ, যে যুদ্ধের শুরুতেই বিজয়ী নির্ধারিতঃ আর তা হলো সামরিক শিল্প।

বিজয়ীদের অন্যতম কারলাইল গ্রুপ

যখন সৈন্যবহর যুদ্ধজাহাজ যোগে ইরাকের দিকে ধাবিত হয় তখন যে উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলো ব্যাবসা করে লাল হয়ে যায় তা বলাই বাহুল্য। ভোহগট এয়ারক্রাফ্ট ইন্ডাষ্ট্রীজ এ জাতীয় সামরিক উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ তৈরী করে থাকে। এ কোম্পানীটি সম্প্রতি ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। কোম্পানীটির মালিক ওয়াসিংটনস্থ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কারলাইল গ্রুপ।যখন সামরিক সৈনিক পরিবহণ কামান ব্রাডলী রণক্ষেত্রে যাত্রা শুরু করে তখনও ওয়াসিংটনস্থ বিনিয়োগকারীগণ আবারও ব্যবসায় অংশীদার। ব্রাডলীর প্রস্তুতকারক ইউনাইটেড ডিফেন্সের প্রধান অংশীদার কারলাইল গ্রুপ।

ইরাক যদ্ধের শুরুতে কারলাইল গ্রুপের অন্যতম মালিকগণ

ওয়াশিংটন ডি.সি., অর্থাৎ মার্কিন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ক্যাপিটলের অদূরেই অবস্থিত কারলাইল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়। কোম্পানীটি গত কয়েক বছরে অতি গোপনে সামরিক শিল্পে অংশীদারিত্ব জোরদার করেছে। ১৯৯৮ খ্রীঃ থেকে তারা মার্কিন সরকারের সাথে সামরিক ব্যাবসার অংশীদারিত্ব দ্বিগুণ করতে সক্ষম হয়েছে অতি সংগোপনে। এমন সংগোপনে যে, তাদের কার্যালয়ের দরজায় কোম্পনীর কোন সাইনবোর্ড বা নামধাম পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

অটফ্রিট নাছাওয়ার, আটলান্টিক মাহাসাগরীয় নিরাপত্তা তথ্যকেন্দ্র

আটলান্টিক মাহাসাগরীয় নিরাপত্তা তথ্যকেন্দ্রের জনাব অটফ্রিট নাছাওয়ার মতে ”বিগত বছরগুলোতে কারলাইল গ্রুপ সামরিক শিল্পে ক্রমবর্ধমানভাবে নিয়োজিত রয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না যে, তাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে বহু ভূতপূর্ব মার্কিন রাজনীতিবীদ রয়েছেন যাদের জ্ঞান ও তথ্য বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করা যায়। যেমন ধরুন, সরকারী সামরিক কোম্পানী বা গবেষণাগারগুলো বেসরকারী করণ, হউক তা আটলান্টিকের এপারে কি ওপারে, ব্যবসা পেতে।”

আকাশ, স্থল ও ণৌপথে:

বুশ প্রশাসনের সাথে চমৎকার সম্পর্কের বদৌলতে সকল মার্কিন সেনা বহরের সাথে কারলাইল গ্রুপের ব্যবসা ভালই চলছে। জনাব ফ্রাঙ্ক কার্লুচী, বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াকার বুশের পিতা ও প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ হেরবেয়্যার্ট ওয়াকার বুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কারলাইল গ্রুপ পরিচালনা করেন। তার পাশে রয়েছেন ভূতপূর্ব মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস বেকার, বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রপতির পিতা ও প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতির পিতা বুশ।

একটি মার্কিন বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবামূলক তদন্ত সংস্থা সেন্টার ফর ইন্টেগ্রিটি এ সব তথ্যগুলো তুলে ধরেছে। এ সংস্থার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল মার্কিন জনগণকে সরকারী কর্মকর্তদের দায়িত্ব, কর্তব্য, সীমাবদ্ধতা, ক্ষমতার অপব্যাবহার সম্পর্কে অবহিত করা। এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জনাব চার্লস লুইস রাষ্ট্রপতি বুশের অর্থনৈতিক পটভূমি গত কয়েক বৎসর যাবৎ তদন্ত করে আসছেন।

চার্লস লুইস: ”এটা অত্যন্ত বেমানান যে, রাষ্ট্রপতির পিতা সামরিক কোম্পানীতে নিয়োজিত, বিদেশী সরকার ও বিনিয়োগকারীদের সাথে ব্যাবসা কারেন, যেখানে তাঁর ছেলে মার্কিন রষ্ট্রপতি হিসেবে একই লোকজনের সাথে কাজ ও উঠাবসা করেন। এটা শুধু স্বার্থের দ্বন্দই নয় বরং চরম লজ্জাকরও বটে।”

তবুও রাষ্ট্রপতি বুশ ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জনাব ডনাল্ড রাম্সফেল্ডের তাতে কোন আপত্তি থাকা তো দূরের কথা, কোন মাথা ঘামানী পর্যন্ত নেই। তারা গত বৎসর কারলাইল গ্রুপের সাথে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা সম্পন্ন করেছেন। তাতে এ কোম্পানী বুশ প্রশাসনের প্রধান সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারীদের মধ্যে ১২তম পদে ভূষিত হয়েছে। দূর্নীতি দমন বেসরকারী সংস্থা জুডিসিয়াল ওয়াচ পিতাপুত্রের এ ব্যবসার কঠিন সমালোচনা করেছে। তাদের অভিযোগ: পিতা বুশের সৌদি আরবের সাথে ব্যাবসা পুত্র বুশের মধ্যপ্রাচ্যনীতির উপড় প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।

ল্যারী ক্লেইম্যান: ”রাষ্ট্রপতি বুশ স্বার্থের দ্বন্দে তখনই জড়িয়ে পড়ে যখন পিতা বুশ কারলাইল গ্রুপে নিয়োজিত। কারণ, এ কোম্পানীটির সৌদি আরবের সাথে বহুবিধ ব্যাবসায়িক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং মাধ্যপ্রাচ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে স্বার্থ রয়েছে। এমনকি কারলাইল গ্রুপ কয়েক মিলিয়ন ডলারর বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাবসায় বিন লাদেন পরিবারের সাথেও জড়িত রয়েছে। তার মানে দাড়াল যে, বুশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছেন না, যেখানে তার পিতা সে সকল সিদ্ধান্ত থেকে লাভবান হতে পারে।

কারলাইল গ্রুপ অস্বীকার করে যে, রাষ্ট্রপতি বুশের নিকট থেকে তারা লাভবান হয়েছে। গত ১লা এপ্রিল ২০০৩ জার্মান টেলিভশন জেডডিএফ -এর রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও সমালোচনাধর্মী ম্যগাজিন অনুষ্ঠান “ফ্রন্টাল২১” বা মুখোমুখি২১ অনুষ্ঠান আরম্ভ হওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে লিখিতভাবে পিতা পুত্রের সম্ভাব্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানিয়েছে যে, ”ভূতপূর্ব রাষ্ট্রপতি বুশ কারলাইল গ্রুপের ব্যবসা সম্পর্কে তার পুত্রের সাথে আলোচনা করেন না। তার পুত্র রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তার জন্য কারলাইল গ্রুপের সাথে জড়িত থাকায় কোন প্রকার সমস্যার কারণ নেই।”

ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুধু কারলাইল গ্রুপের মুনাফা লুটছে না। ইরাকের একমাত্র সমূদ্রবন্দর ওম কাস্রের ক্ষয়ক্ষতি ও পুনঃনির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এস.এস.এ. বা ষ্টেভেডোরিং সার্ভিসেস অফ আমেরিকা। উল্লেখ্য যে, এ কোম্পানীটিচট্টগ্রাম সুমুদ্র বন্দরে বেসরকারী টার্মিনাল তৈরীর কাজও করবে বলে জানা গেছে; যেখানে বাংলাদেশীদের কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কাগজে বেশ লেখালেখি হয়েছে এবং হচ্ছে। মার্কিন কামান মধ্যপ্রাচ্যে প্রেরণ ও সেনা ছউনী নির্মাণ করছে বেসরকারী কোম্পানী কেলগ্স, ব্রাউন ও রুট। একই কোম্পানী গোয়ান্টানামো উপদ্বীপে বন্দী তালিবানদের শিবির সেনাবাহিনীর জন্য নির্মাণ করেছিল।

এ কোম্পানীটি আসলে হেলিব্রিটন কোম্পানীর একটি অংশ। হেলিব্রিটন তেলখনিতে অগ্নিনির্বাপক ও সরবরাহ কাজে বিশেষত্ব অর্জন করেছে। হেলিব্রিটন ইতিমধ্যে ইরাকে তেলখনিতে অগ্নিনির্বাপকের আংশিক কাজ বুট্স ও কুট্স নামের আরেকটি মার্কিন কোম্পানীকে ঠিকা দিয়েছে। এ কোম্পানীর প্রধান উপদেষ্টা জনাব লরেন্স ইগেরবার্গার হলেন ভূতপূর্ব মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জর্জ বুশের দলীয় বন্ধু। বর্তমান মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ডিক চেনী গত দু’বছর পূর্বেও এ কোম্পানী পরিচালনা করতেন। সে এখনও বাৎসরিক হেলিব্রিটন কোম্পানীর কাছ থেকে এক মিলিয়ন বা দশ লক্ষ ডলার পাচ্ছেন – তাদের ভাষ্যনুযায়ী চাকরী ছেড়ে দেয়ার ক্ষতিপূরণ হিসেবে।

হেলিব্রিটন যে এককভাবে সরকারী কাজ পেয়েছে তাতে ডিক চেনীর কোন ভূমিকা নেই বলে জানানো হয়েছে। সে এ কাজের ব্যাপারে কোন প্রকার প্রভাব বিস্তারের কথা অস্বীকার করেছেন।

চার্লস লুইস, সাংবাদিক, সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টেগ্রীটি: ”গত পাঁচ বৎসরে হেলিব্রিটন কোম্পানী পরিচালনাকালে ডিক চেনী মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণায় ও দালালী প্রদানের পরিমান দ্বিগুণ করেছে। ডিক চেনীর আমলে হেলিব্রিটন সরকারী কাজ পেতে অত্যন্ত সফল ছিলেন। যা হোক, মার্কিন সরকার হেলিব্রিটনকে কাজ দিতে কোন প্রকার কার্পণ্য করেননি। ডিক চেনী উপ-রাষ্ট্রপতি পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পরও তার কোম্পানী হেলিব্রিটনকে বেশ সফলই মনে হচ্ছে।”

ল্যারী ক্লেম্যান, জুডিশিয়াল ওয়াচ: ”কারলাইল কোম্পানীর মতই হেলিব্রিটনও সৌদী রাজপরিবারের সাথে ব্যাবসায় লিপ্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদী রাজপরিবারের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্পর্কে উদাসীন। এর কারণ কি রাষ্ট্রপতির পিতা সৌদীদের সাথে ব্যাবসায় লিপ্ত বলে? এ সবই স্বার্থের দ্বন্দ, যা আমাদের তদন্ত করতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে যে, এ সব বাণিজ্য বন্ধ হয়।”

ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ রাষ্ট্রপতি বুশের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য একটি লোভনীয় ব্যাবসা। ইরাক ধ্বংসের পর আবার মার্কিন কোম্পনীগুলোই পুনঃনির্মাণের ব্যবসা করবে।

ইরাকের তেলশিল্প পুনঃনির্মাণ বাবদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ বা ৫০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। আবরও মার্কিন কোম্পানীগুলোই সে কাজ পাবে। তবে ডিক চেনীর প্রাক্তন কোম্পানী হেলিব্রিটন গণমাধ্যমে বুশ সরকারের বাণিজ্যিক যোগসোরের সমালোচনার চাপে এবার তার সিংহভাগ পাবে না বলে বলা হয়েছে। এ চাপের মুখে যুদ্ধ করে জিতে নেয়া কিছু মুনাফা অনিচ্ছা সত্বেও তাদেরকে অন্য মার্কিন কোম্পনীগুলোর সাথে ভাগবাটোয়ারা করতে হবে।

তাই বলে হেলিব্রেটন যে কিছুই পাবে না তাতো হতে পারেনা। চেনীর প্রাক্তন কোম্পানী হেলিব্রিটন বুশ সরকারের বদৌলতে একমাত্র মনোনিত কোম্পানী হিসেবে অন্ততঃ তেলখনিতে অগ্নিনির্বাপণ করবে।

-: সমাপ্ত :-

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। কাউছার ভূইয়াঁ ১৯৯১ – ২০১২।